শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে চরবাজারগামী মাল্টিপারপাস সেড সংলগ্ন রাস্তার উভয়পাশে মাটি ভরাটসহ সংস্কারের দাবি উঠেছে। স্থানীয় লোকজনসহ আশপাশের ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীরা এ দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।
আজমিরীগঞ্জ টানবাজার থেকে মাছবাজার ও মাল্টিপারপাস সেড হয়ে সংলগ্ন রাস্তার উপর দিয়ে চরবাজারে চলাচলের রাস্তা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনামলে অন্যান্য কাজের অংশ হিসেবে প্রায় ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই মাল্টিপারপাস সেডটি নির্মিত হয়। এতে মিটসেড, ফিসসেড সবজিসেড ও ওমেন মার্কেট রয়েছে। আজমিরীগঞ্জ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ টানবাজারের ফুটপাত দখল করে সবজি বিক্রেতাদের ওই সেড চত্বরে স্থানাস্তরিত করেন।
এ ছাড়া তিনটি সেড নিয়ে ইকরা শিশু একাডেমি নামে একটি স্কুল রয়েছে। যার কারণে ওই স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একই সময় লোকজনের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে মাল্টিপারপাস সেড থেকে পাঁচ ইঞ্চি পুরু ঢালাইকৃত একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
টানবাজারের লোকজন, সাধারণ ক্রেতা, শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করত। এতে করে নির্বিঘ্নভাবে চলাফেরাসহ সময় অপচয় অনেক কম হত। গত সরকারের আমলে ওই রাস্তার উভয় দিকের সরকারি মালিকাধীন দুইটি পুুকুর তৎকালীন যুবলীগের কতিপয় নেতৃবৃন্দ নিজেদের দখলে নেন। এক পর্যায়ে ওই দুইটি পুকুরের মাছ ধরতে গিয়ে এক পুুকুর থেকে অন্য পুকুরে পানি সেচ যন্ত্র বসানো হয়। এতে করে নীচের মাটি ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় ওই রাস্তার ঢালাইকৃত একটি অংশ দেবে যায়।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকায় একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। কিন্তু এরপরও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। পৌরসভার অন্তর্গত ওই রাস্তাটি শুধুমাত্র সুষ্টু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরবর্তীতে আরও একটি প্লেট দেবে যায়। বেশ কিছুদিন পূর্বে দেবে যাওয়া স্থানটিতে মাটি ভর্তি কয়েকটি বস্তা ও উভয়পাশে বাঁশের আড়া দিয়ে দায়সারা গোছের কাজ করানো হয়। দেবে যাওয়া প্লেটের উপর দিয়ে বর্তমানে ওই রাস্তা দিয়ে লোকজন আসা-যাওয়া করতে পারছে না। যার কারণে সাধারণ লোকজনসহ ক্রেতা, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষিকা শিক্ষার্থীরা মাছ বাজারের মধ্যদিয়ে স্ব স্ব গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
এদিকে প্লেটের উভয়পাশের নীচের মাটি ক্রমান্বয়ে ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। যে কোন সময় এগুলো দেবে গেলে রাস্তাটি একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। তাই অচিরেই রাস্তার উভয়পাশে মাটি ভরাটসহ সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।